MEMORY SHARE

আমার জীবনের স্বর্ণালী সময় হলো আমি যেদিন কিশলয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। কিশলয়ে কাটানো প্রতিটা দিন আমার কাছে স্মরণীয়। বিদ্যালয়ে থাকলে আমার মনে হয় আমি যেন আবার বাচ্চা হয়ে গেছি এবং আমার সহকর্মী, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সাথে ভাল সময় পার করি।

ছোট্ট ছোট্ট কচিকাচাদের একটু একটু করে গড়ে ওঠা ও তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমার কাছে মধুরতম স্মৃতি।

স্মৃতিতে অনেক মিষ্টি ঘটনা রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাটি হল, যে দিন আমি প্রথম স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হলাম। সেই দিন আমার সকল সহকর্মীরা আমাকে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছিল। যা আমার কাছে খুবই স্মরণীয়।

বিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রোগ্রামে একজন শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। এটি আমাদের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দিনে সাবেক শিক্ষার্থীদের দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দিনে বিদ্যালয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে একজন সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত।

কিশলয় ঢোকার পর কিশলয়ের সাথে জুড়ে থাকা প্রতিটা মুহূর্তই ভীষণ সুন্দর। তাছাড়া বিশেষ কিছু মুহূর্তের মধ্যে বলা যেতেই পারে যে ৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শিক্ষক দিবসের দিন বড়ো মিসের দেওয়া স্নেহ ও ভালোবাসার সহিত উপহারটি আমার কাছে ভীষণ আনন্দের মুহূর্তে।

কিশলয়ে শিক্ষকতা করাকালীন আমার ছোট ছোট আনন্দের ভালোলাগার স্মৃতিগুলোর মধ্যে সবচাইতে সুন্দর বা মিষ্টি স্মৃতি বা মুহূর্ত হলো- যেদিন প্রথম আমার লেখা নাটক “মা ও মেয়ে” কিশলয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সকলের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেদিন আমি যেই আনন্দটা পেয়েছিলাম তা লেখার মাধ্যমে বোঝাতে পারবো না।

কিশলয়ে ঢোকার পর আমার প্রথম স্মরণীয় স্মৃতি হল, বড়মিস আমাদের সকল শিক্ষিকাদের নিয়ে লাটাগুড়ি রিসোর্টে গিয়েছিল। সেদিন আমরা সবাই খুব আনন্দ করেছি, সবাইকে কাছে পেয়েছি, এটাই আমার জীবনের একটি সুন্দর মুহুর্ত।

কিশলয়ে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে স্মরণীয় হলেও এমন কিছু দিন আছে যেগুলো স্মরণ করে আমি আজও আনন্দ অনুভব করি। আর তেমনি একটি দিন হল লাটাগুড়ি ভ্রমণ যেখানে বড়মিস আমাদের সকল শিক্ষিকাদের বেড়াতে নিয়ে যান। আমরা সকলে এক অপরকে বোঝার সুযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে বড়মিসের এই পদক্ষেপ শুধু আমার কাছেই নয়, সকল শিক্ষিকার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া কিশলয়ে কাটানো প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেখানে নিজের কিছু লুকিয়ে থাকা প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছি তার সকলই আমার কাছে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সুন্দর মুহুর্ত তখনই তৈরি হয় যখন প্রত্যেকের মধ্যে সঠিক মেল বন্ধন তৈরি হয়। আর এই কিশলয় হল আমাদের শিক্ষিকাদের কাছে একটি পরিবার যেখানে আমরা এক ছাদের তলে সকলে মিলে মিশে থাকি। আর এই একসাথে থেকে যে আনন্দটা অনুভব করি, সেটাই আমার কাছে সবচাইতে সুন্দর মুহূর্ত।

আমার অনেক সুন্দর মুহুর্ত কেটেছে এই কিশলয় শিশু বিদ্যালয়ের সাথে। অনেকগুলি স্মৃতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি হলো- ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষিক দিবস উপলক্ষ্যে সকল শিক্ষিকাদের হাতে আমাদের প্রিয় বড় মিস একটি করে বই উপহার দেন। যা আমাদের সকল শিক্ষিকাদের সারা জীবন মনে রাখার মত। তাই আমি এই স্মৃতিগুলি নিয়ে কিশলয় এর সাথে দৃঢ় পথ এগিয়ে যেতে চাই।

৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শিক্ষিক দিবসের দিন, বড় মিসের দেওয়া উপহারটি আমার কাছে ভীষণ শ্রেষ্ঠ। সেই উপহারটির মধ্যে বড়মিসের স্নেহের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে তাই এই দিনটি আমার কাছে ভীষণ স্মরণীয়।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমি কিশলয়ের সাথে যুক্ত। তাই কিশলয়ের সংস্পর্শে থাকা প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে স্মরণীয়।

৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষিক দিবস উপলক্ষে আমাদের বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষিকাদের নিয়ে একটি একটি ছোট্ট নাটক “২২ শে শ্রাবণ এর টাক” পরিচালিত হয়, যা আমার জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। এছাড়া ঐ দিন বড় মিসের দেওয়া উপহারটি আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান, তার কারণ সে উপহারটিতে জড়িয়ে আছে বড় মিসের স্নেহের ভালোবাসা। একজন সহ শিক্ষিকার সম্মান পেয়ে আমার হাতে তুলে দেওয়া বড় মিসের উপহারটি আমার কাছে ভীষণ স্মরণীয়।

পুণর্মিলন উৎসবে যখন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সম্মান জ্ঞাপন করেছিল সেই দিনটি আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।

এখন পর্যন্ত আমার মধুর স্মৃতি হচ্ছে আমাদের প্রিন্সিপাল ম্যাম শিক্ষক দিবসে আমাদেরকে বই উপহার দিয়েছিলেন।

যেসব ছাত্রছাত্রীদের ছোটবেলায় যত্নসহ টিফিন খাইয়ে দিতাম, ক্লাসের ফাঁকে গল্প শোনাতাম তারা বড়ো হয়ে এত দিন পরে আমায় না ভুলে স্কুলের পুণর্মিলন উৎসবে যে সংবর্ধনা জানিয়েছে সেটি আমার কাছে একটি বিশেষ স্মরণীয় মুহূর্ত। তাছাড়া বড়ো মিসের আমাকে ভালোলেগে শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত করা এটিও আমার কাছে একটি সুন্দর মুহূর্ত, যা ভোলবার নয়।

শিক্ষক দিবসের দিন বড়ো মিসের দেওয়া উপহারটি আমার কাছে একটা বিশেষ মুহূর্ত।

শিক্ষক দিবসের দিন আমাদের সকলের হাতে তুলে দেওয়া উপহারটি আমার কাছে সুন্দর একটি মুহূর্ত।

সকলে মিলে লাটাগুড়িতে ঘুরতে যাওয়া।

২২ শে শ্রাবণের অনুষ্ঠানটি আমার কাছে ভীষণ স্মরণীয়।

২২ শে শ্রাবণের অনুষ্ঠান, যা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

বর্তমান শিক্ষিকা ও প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে কিশলয়ে যে পুণর্মিলন উৎসব করা হয়েছিল তাতে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।

৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুণর্মিলন উৎসবটি ছিল আমার কাছে একটি অসাধারণ স্মরণীয় মুহূর্ত। যা ভোলবার নয়। যার কারণ সেই প্রাক্তণ ছাত্রছাত্রীদের সম্মানীয় ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা যা আমার মনকে অনেকটা পরম আনন্দ দিয়েছিল।

স্কুলের শিক্ষিকাদের সাথে শান্তি নিকেতন, লাটাগুড়ি ইত্যাদি স্থানে ঘুরতে যাওয়ার অনেক স্মৃতি আছে। এছাড়াও গত ৮ই জানুয়ারি ২০১৭ এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুণর্মিলন উৎসব হয়েছিল তার একজন অংশীদার হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। যা আমার স্মৃতিতে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।